চান্দপুর চা বাগানের মোট ৩ হাজার ৯৫১ একর জমির মধ্যে ৯৫১ একর চাষাবাদের জমি। অনুসন্ধানে আমরা জেনেছি যে সব শ্রমিক পরিবার বর্তমানে এ জমি চাষ করছে তাদের পূর্বপুরুষেরা প্রায় দেড়’শ বছর আগে থেকে চা বাগানের জমি তৈরির পাশাপাশি আবাদী জমিও তৈরি করে। সেই থেকে তারা এ জমি চাষাবাদ করছে। এ জমিতে উৎপাদিত ফসলে তাদের সংসার চলে। এ জমি ব্যবহারকারী অনেক পরিবার আছে যাদের চা বাগানে কাজ নেই। ফলে তাদের জীবন চলে এ জমির উপর নির্ভর করেই। আমরা মনে করি চান্দপুর চা বাগানের শ্রমিকদের সাথে পর্যাপ্ত আলোচনা না করে এবং তাদের অর্থনৈতিক ভাগ্য বিবেচনায় না এনে সরকার কৃষিজমি হস্তান্তর করে চা শ্রমিকদের প্রতি অবিচার করেছে। আমরা দেখেছি জমি রক্ষার চেষ্টায় চান্দপুর চা বাগানের হাজার হাজার মানুষ কৃষিজমিতে ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন প্রতিবাদ সমাবেশ করছে।

আমরা চা শ্রমিকদের ব্যবহৃত কৃষিজমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার ব্যাপারে চা শ্রমিকদের সাথে পূর্ণাঙ্গ ও খোলামেলা আলোচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অর্থনৈতিক অঞ্চল দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেশের প্রান্তজন চা শ্রমিকদের প্রতি কোনো অন্যায় যাতে না হয় তার জন্য আমরা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। অর্থনৈতিক অঞ্চল যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি কৃষি ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতও জাতীয় অগ্রগতির জন্য সম-গুরুত্বপূর্ণ। তাই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং এর প্রয়োজনে জমির সাশ্রয়ী ও ন্যায্য ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি বৃহত্তর জাতীয় আলোচনা সূচনা করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি।

স্বাক্ষরকারী

১.    হোসেন জিল্লুর রহমান
২.    হামিদা হোসেন
৩.    আনু মুহাম্মদ
৪.    খুশি কবির
৫.    শহিদুল আলম
৬.    জ্যোতির্ময় বড়–য়া
৭.    রেহনুমা আহমেদ
৮.    তানজিম উদ্দিন খান
৯.    শামসুল হুদা
১০.    হাসনাত কাইয়ুম
১১.    ফিলিপ গাইন


পিডিএফ ভার্সন [ ডাউনলোড ]